দুর্দান্ত জয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
জয় পেলে নিশ্চিত সুপার এইট। হারলেই পড়তে হবে সমীকরণের মারপ্যাঁচে। এমন ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয়ে সেরা আট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে ২১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে সুপার এইটে উঠলো টাইগাররা।
নেপালের মত আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ বেশ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেপালি বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিলো ১০৬ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত পেসে কাঁপন ধরলেও মিডল অর্ডারে রীতিমত জয়ের রাস্তায় চলে গিয়েছিলো নেপালিরা। মিডল অর্ডার কুশল মাল্লা এবং দিপেন্দ্র সিং আইরি মিলে ৫২ রানের জুটি গড়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো টাইগারদের।
কিন্তু তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করেন। ১৯তম ওভার মেডেন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেপাল।
১০৬ রান হওয়ার পর লো স্কোরিং উইকেটে জয়ের আশা জাগে বাংলাদেশের। কারণ, বোলারদের ওপর আস্থা ছিল। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে ইনিংসের শুরুতেই আগুন ঝরাতে থাকেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। তবে কুশল মাল্লা এবং দিপেন্দ্র সিং আইরি মিলে ৫২ রানের জুটি গড়লে কিছুটা শঙ্কা দেখা দেয়।
তবে ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে এই জুটি ভাঙলে নেপালের আশা শেষ হয়ে যায়। ৪০ বলে ২৭ রান করে আউট হন কুশল মাল্লা। দিপেন্দ্র সিং আইরি ইনিংস ধরে রাখলেও ১৯তম ওভারে এসে মোস্তাফিজের বলেই আউট হতেবাধ্য হন। তিনি করেন ২৫ রান। এরপরের চার ব্যাটার ছিলেন রানশূন্য। তাসকিন একটি এবং সাকিব আল হাসান দুটি উইকেট নিলে শেষ হয়ে যায় নেপালের ইনিংস। ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নেন সাকিব।
৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান নেন ৩টি উইকেট। সুপার এইটে বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে।
এর আগে একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত নেপালকে ১০৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়েছে ১৯.৩ ওভারে। শেষ মুহূর্তে ২টি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকের ঘর পার করে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশ নেপালের সামনে খেই হারায় কি না, এই ভয়টাই পেয়েছিলো এ দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। নেপাল যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে, তাতে হয়তো বাংলাদেশও বিপদে পড়তে পারে- এমন শঙ্কা ছিল।
সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমনটাই ঘটেছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের। নেপালি বোলিংয়েও যেন থরথর করে কাঁপছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা।
কোনো ব্যাটারই নেপালের বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করতে পারলো না। ৫২ রানে ৫ উইকেট এবং ৬১ রানে ৬ এবং ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সমপাল কামির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২ বল খেলে ১০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস। টানা ব্যর্থতার ভেতর দিয়েই যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের জন্য ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী।
সাকিব আল হাসান ১৭ রানে, তাওহিদ হৃদয় ৯ রানে আউট হয়ে যান।মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন মাত্র ১৩ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।